শাহজালাল  বিশ্ববিদ্যালয়ে একীভুত শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার

একীভুত শিক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মূলধারার শিক্ষায় সম্পৃক্ত করার উদ্দ্যেশ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণার উদ্দেশ্যে সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে। এ পর্যায়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “কিন” এর উদ্দ্যেগ্যে ২৩ জুন ২০১১  বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস।

অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বলেন, প্রতিবন্ধিতা কোন ভিন্নতা নয় এটি আমাদের জীবনের অংশ। প্রত্যেক শিক্ষিত ব্যক্তিরই এগিয়ে আসা উচিৎ সমাজের সর্বস্তরের প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে।

উপাচার্য ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন বলেন, ২০১০ সাল থেকে শাবি’তে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যে কোটা রাখা হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তিও হয়েছে। তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে চাকুরী দিয়েছেন যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং ভবিষ্যতেও দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, নৃ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের  অধ্যাপক রুহুল আমিন সজিব, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জায়েদা শারমিন স্বাতী, কিন সভাপতি তানজীদ হাসান প্রমুখ।
এছাড়াও আয়োজিত এই সেমিনারে শাবি’র ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্দ্যেশ্যে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরিতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্ববান জানিয়ে, বাংলাদেশের অবহেলিত প্রতিবন্ধী মানুষের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে বি-স্ক্যানের পেছনের ইতিহাস নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বি-স্ক্যান এর সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব। “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরও আছে শিক্ষার সম অধিকার” এই বিষয়ে মূল প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন বি-স্ক্যান সদস্য রুদ্র-অক্ষর।

সেমিনারের মূল আকর্ষণ ছিলো ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে উন্মুক্ত প্রশ্ন-উত্তর পর্ব।

 

স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১২

স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১২

‘জাগো হে নবীন, ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্যে চাই সমাজ প্রতিবন্ধকতাহীন’ এই স্লোগানে ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২ বি-স্ক্যান প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অষ্টম শ্রেণী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৪টি স্কুলের বিতার্কিকেরা

একীভূত শিক্ষার জন্য জনসচেতনতা তৈরীর উদ্যোগ

একীভূত শিক্ষার জন্য জনসচেতনতা তৈরীর উদ্যোগ

যে জীবন এতদিন এদেশের প্রতিবন্ধী মানুষেরা কাটিয়ে এসেছেন আমরা জনসচেতনতার মাধ্যমে তার পরিবর্তন আনতে চাই ।